অ্যাডিলেডে আগ্রাসন

fishkeeping simplified

অ্যাডিলেডে আগ্রাসন

#অ্যাডিলেডে_অাগ্রাসন

এ অ্যাডিলেড গ্রেগ চ্যাপেলের অ্যাডিলেড নয়।এ হল অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরি প্রদেশের একখানা নদী।অ্যাডিলেড নদীর প্লাবনভূমিতে বহিরাগত প্রজাতি হিসেবে বেট্টারা জাঁকিয়ে বসেছে( এখনও পর্যন্ত শুধু স্প্লেনডেন প্রজাতিই পাওয়া গিয়েছে)।বহিরাগত প্রজাতি হিসেবে ওরা কী করে এখানে এল,ওরা আসায় সংশ্লিষ্ট জলজ বাস্তুতন্ত্রে কী পরিবর্তন হল,বেট্টাদের মধ্যেই বা কী বদল এল,সেই নিয়েই আজকের গল্প।

#বেট্টারা_অ্যাডিলেড_নদীতে_এল_কীভাবে

অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির উত্তরাংশে রয়েছে এক বিশাল জলাভূমি যার বিস্তার প্রায় ২০০ কিমি।এই জায়গাটা ডারউইন আর কাকাডু জাতীয় উদ্যানের মাঝখানে।এইখানেই রয়েছে অ্যাডিলেড, মেরি,দঃ অ্যালিগেটর,পূঃ অ্যালিগেটর ইত্যাদি নদীর অববাহিকা।আশপাশের অঞ্চলের যাঁরা বেট্টা প্রজননকারী,প্রচুর বেট্টা মাছকে জলাশয় ও নদীর জলে ফেলে দিচ্ছেন।শুধু তাই নয়,অ্যাকোয়ারিয়াম হবিস্ট,যাঁরা মনে করছেন বেট্টা আর ভাল্লাগছে না,অকাতরে মাছগুলো জলে নিক্ষেপ করছেন।

নদী অববাহিকার বিশাল আয়তন,প্রচুর জলজ গাছ আর বড় বড় কুমীর থাকার কারণে এখানে বেট্টাদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা খুব কঠিন।বেট্টাদের এই অঞ্চলে উপস্হিতির প্রথম প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায় ২০১০ সালে,’ফগ’ বাঁধে জালে ধরা পড়া একটা মেয়ে বেট্টার ছবি থেকে।এরপর খুচরো খাচরা ভাবে আরও কিছু বেট্টার উপস্হিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।২০১৭ সালের একটা হিসেব বলছে,প্রায় ৮১ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বেট্টাদের বিস্তার।

#কীভাবে_থাকে_অ্যাডিলেডের_বেট্টারা

নর্দান টেরিটরির ‘মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারি’-র দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে,জলাশয়ে অর্নামেন্টাল বেট্টা( রংবাহারি,বড় লেজ- পাখনাযুক্ত) ফেলা হলেও শিকারী প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পেতে মাছগুলোর পিছনদিকে বিবর্তন ঘটছে!অর্থাৎ,বড় লেজ,পাখনা নেই,রং-ও বন্য বেট্টার মতো।ল্যাবিরিংথ শ্বাসযন্ত্র আছে বলে শুষ্ক ঋতুতেও দিব্যি কাটিয়ে দেয় বলে অ্যাডিলেড নদী অববাহিকায় এদের বিস্তার সম্ভবত দ্রুত ঘটছে।

অনেকে ভাবছেন বহিরাগত প্রজাতি হিসেবে বেট্টা থাকলে কী আর এসে যাবে,এ তো আর আমাদের দেশে অ্যালিগেটর গার নয়।ভুল ভাবছেন।এন্তার জলাশয়ে ফেলে দেওয়া মাছগুলোর মধ্যে কোন রোগ থাকতে পারে আর তা স্হানীয় মাছের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।দ্বিতীয়ত,বেট্টারা আক্রমণাত্মক মাছ।অবশ্যম্ভাবীভাবে স্হানীয় অন্য ছোট মাছ ও ব্যাঙাচিদের সাথে জায়গা ও খাবার নিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়ছে।

এটা ঠিক যে এই বিষয় টা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজনের তুলনায় অল্পই হয়েছে।স্হানীয়ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে যাতে মাছ জলাশয়ে ফেলে দেওয়া না হয়।কেউ মাছ পুষতে না পারলে কিছু দোকান মাছটিকে অন্য কোন বাড়িতে পোষ্য হিসেবে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।এই ঘটনা থেকে একটাই শিক্ষা,ছোট হোক কি বড়,বহিরাগত মাছ কখনই স্হানীয় জলাশয়ে ফেলবেন না।এই পরিবেশ আমার- আপনার সকলের,আসুন তাকে আগলে রাখি।

We are accepting the entries for IBAC

X