Jurassic fish – Part 3 – Armor in Fish

fishkeeping simplified

Jurassic fish – Part 3 – Armor in Fish

যে বা যারাই প্রাগৈতিহাসিক মাছের কথা জানতে উৎসুক হয়েছেন এবং গুগল বা বই ঘেঁটেছেন, একটি মাছের ছবি তাদের সবার চোখে নিশ্চয়ই পরেছে। একটি দানবাকৃতির, ভাঙা কাঁচের মতন ধারাল দাঁত ধারণকারী মাছ। শরীরের সামনের দিকে শক্ত আবরণ, এমনকি চোখেও আবরণের আভাস। লেজের দিকে অবশ্য অন্য চেহারা, মাথার বর্মের কোন চিহ্নই নেই এদিকে। হাঙরের লেজের সাথে মিলটা খুব সহজেই চোখে পরে। এই হ-য-ব-র-ল মাছের ভালো নাম Dunkleosteus। Cleveland Museum of Natural Historyর সদস্য David Dunkleএর নামের নামাঙ্কিত এই মাছ Placoderm বা পাতচামড়া শ্রেণীর মাছ। এই মাছ এবং তাদের আত্মীয়দের বিবর্তন ও বিলুপ্তির গল্প খুব একটা পরিষ্কার নয়, এবং প্রতিনিয়ত এদের বিবর্তন এবং অন্য মাছেদের সাথে সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চলছে।

Placoderm মাছেদের আবির্ভাব হয় সাইলুরিয়ান(Silurian) পিরিয়ডে। এরা ইতিহাসের প্রথম মাছ, তথা প্রথম মেরুদণ্ডী প্রাণী, যাদের চোয়াল ছিল। এরাই প্রথম মাছ যাদের মধ্যে পেল্ভিক ফিনস দেখা যায়।এদের যখন আবির্ভাব হয় তখন সমুদ্র ছিল অমেরুদণ্ডীদের দখলে। চোয়ালের বিবর্তনের ফলে মাছেরা পরিণত হয় ভীতু খাদ্যবস্তু থেকে প্রধান খাদকে। এদেরকে এতদিন ধরে মেরুদণ্ডী প্রাণীদের বিবর্তনের একটা ছোট পার্শ্বশাখা ভাবা হয়ে থাকলেও, Entelognathus এর মতন প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়ার পর গবেষকদের ধারণা বদলাচ্ছে। এখন মনে করা হয় Placodermরাই বিবর্তিত হয়ে আজকের সব মেরুদণ্ডী প্রাণীদের পূর্বপুরুষদের জন্ম দিয়েছে। এদের বিবর্তনের ফল যাই হোক না কেন, এই লেখাতে Placoderm বলতে Arthrodira, Antiarchi, Bridabellaspida, Phyllolepida, Ptyctodontida, Rhenanida, Acanthothoraci, ও Petallichthyida Order গুলিকেই বোঝানো হচ্ছে।

Placoderm-রা ছিল প্রধানত sedentary মাছ, অর্থাৎ জলাধারের তলার দিকে এদের দেখা মিলত। ধীরগতির এই মাছেরা আচার আচরণে আজকের দিনের ক্যাটফিশ বা শঙ্কর মাছেদের মতন ছিল। দ্রুতগতির মাছেদের বর্ম থাকাটাই অস্বাভাবিক। Placoderm-দের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল নানা আকারের বর্ম। অস্থি দিয়ে গঠিত এই বর্মের আকার ভিন্ন পরিবারের মাছেদের জন্যে ভিন্ন হলেও, সাধারণত এই বর্ম মাথা, ঘাড়, এবং পিঠ অবধিই সীমিত থাকত। বাকি দেহ ছিল বর্মহীন। এদের “দাঁত” ছিল হাড়ের তৈরি, এবং মাথার বর্মের বর্ধিত অংশ, যদিও অনেক Placoderm দের অন্য ধরনের দাঁত ছিল। বর্তমানের মাছেদের মতন এদেরও নানা আকৃতিতে দেখা যেত, যেমন শঙ্কর মাছের মতন দেখতে Asterosteus, হাঙরের মতন Arthrodira এবং Ptyctodontida Order(গোষ্ঠীর) মাছেরা, ও flatfish এর মতন Phyllolepida গোষ্ঠী। সমুদ্র থেকে নদী, সবরকম জলাধারেই এদের জীবাশ্ম মেলে। বিবর্তনে সক্ষম এই শ্রেণীর মাছেরা ডিভনিয়ান(Devonian) পিরিয়ডে বিলুপ্ত হয়ে যায়, যে সময় থেকে হাঙররা এদের জায়গা দখল করে। পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় বর্মধারী মাছেরা।

বিবর্তনের একটা জিদ আছে। একই Blueprint বারবার কাজে লাগায়। একবার একটা প্রাণীর আকৃতি একটা পরিবেশে মানিয়ে গেলে ভবিষ্যতের অন্য অনেক প্রাণী এই আকার ধারন করে। সবসময়েই nostalgia-র আভাস থাকে প্রাণীদের মধ্যে। তা প্রকাশ পায় convergent evolution এর দ্বারা। অতীতের Anteosaurus, Inostrancevia, Barbourofelis, Thylacosmilus, Nimravid জাতীয় প্রাণীরা, Smilodon, ও বর্তমানের Clouded Leopard এরা কেউ সরীসৃপ, কেউ স্তন্যপায়ী, কেউ বেড়াল এর জাতভাই আবার কেউ স্তন্যপায়ীদের পূর্বপুরুষ। একে অপরের থেকে এদের সময়ের দূরত্ব লক্ষ থেকে কোটি বছরের ও বেশি। তবুও এদের সবার শ্বদন্ত মুখের তুলনায় বৃহৎ, এবং এরা সবাই মাংসাশী, অর্থাৎ এরা সবাই তথাকথিত Sabre-Toothed। তেমনভাবেই, Placoderms-রা কিন্তু প্রথম বর্মধারী মেরুদণ্ডী না, তার আগে Ostracoderms নামের একটি মাছের গোত্র ছিল যাদের শরীর বর্ম দিয়ে ঢাকা থাকতো। এরা চোয়ালহীন ছিল, কিন্তু এদের বর্মে Placoderms-দের বর্মের সাথে অনেক মিল ছিল। Ostracoderms-দের বর্ম ছিল দাঁতের মতন কিছু জিনিস দিয়ে তৈরি। এরা গলার পেশীর দ্বারা খাবার শোষণ করত। Ostracoderms একটা informal group এবং Ostracoderms নাম টা বলতে বোঝায় মূলত তিনটি শ্রেণীঃ Galeaspida, Pituriaspida, এবং Osteostraci। এদের নিকটাত্মীয় ল্যাম্প্রে আর হ্যাগফিশ এখনও বেঁচে আছে। বর্মের আবির্ভাবের ৪০ কোটি বছর পরও বর্মের বিবর্তন হয়েছে আরও অনেক বার। বর্তমানের স্টারজিওন মাছেদের দেহের আবরণ কে বর্ম বললে ভুল বলা হবে না। মাগুরের(Clarias batrachus) বা আর(Sperata aor) মাছের মাথা লক্ষ করলে আমরা দেখি যে এদের মাথাটা কেঠো। অনেক ক্যাটফিশদের সাথে Placoderms-দের আপাত মিল পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকার কোরি ক্যাট(Callichthyidae) বা প্লেকো(Loricariidae) বা ডোরাডিড(Doradidae) দের চামড়া শক্ত হয়ে বর্মের আকার নেয়। ভারতের এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার Erethistidae বা Sisoridae পরিবারের মাছেদের সামনের দিকটা বর্মের সমতুল্য। আবার পাইপফিশ বা সি-হর্সদের সাথে চেনা Placoderm-দের আকার না মিললেও, এদের বর্ম ও স্বভাবে মিল পাওয়া যায়। এদের দেখে এটা ভাববেন না যে এরা Placoderms দের খুব কাছের মাছ। রুই কাতলার সাথে Placoderms দের যতটা দূরত্ব, এদের সাথেও ততটাই। উপরের দুটি উদাহরণের দ্বারা আমরা দেখতে পাই যে দুটি বা তার বেশি দুঃসম্পর্কের প্রাণীদের যদি একই ধরনের পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে বিবর্তনের দ্বারা এক রকমেরই বৈশিষ্ট্য দেখা দিতে পারে।

We are accepting the entries for IBAC

X