Betta persephone
মাছের নাম পার্সিফোনি
আবার betta -য় পেয়েছে।খুঁজেপেতে দেখলাম অনেক betta প্রজাতি IUCN Redlist-এ আছে।একটা সংক্ষপ্ত তালিকা-
Betta picta- Near threatened( NT)
B.simorum- Vulnerable( VU)
#B_splendens-VU
B.macrostoma- VU
B.antoni-Endangered(EN)
B.livida- EN
B.hipposideros- EN
B.spictogena- EN
B.tomi- EN
#B_persephone– EN
B.pinguis- Critically Endangered( CR)
B.simplex- CR
B.cracens- CR
B.chloropharynx- CR
অনেক প্রজাতিরই ডেটা যথেষ্ট নয়।যাই হোক,পার্সিফোনির জীবনযাত্রায় একটু উঁকি মারলাম।দেখতে শুনতে কেমন-দেখতে ব্যাপক।ছেলে রা নীল- কালো,মেয়েরা একটু বাদামী।ছেলেদের পাখনা একটু বড়সড়।খুব ছোট্ট মাছ,১ ইঞ্চি মতো লম্বা।এদের নাম টা এসেছে গ্রীক দেবী পার্সিফোনি-র থেকে,যিনি আবার দেবতা জিউস আর দেবী ডিমিটার- এর কন্যা এবং পাতালের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।বাসস্থান-মালয় উপদ্বীপের দঃ জোহার রাজ্যে আয়ার হিতাম,মুয়ার,ক্লুয়াং অঞ্চলে এদের দেখা মেলে।মাছ পোষার ছোটবেলায় ভাবতা
ম,সর্বে বেট্টাঃ ধানক্ষেতায় নমঃ। ব্যাপারটা মোটেই তা নয়,betta দের তুতো ভাইদের একেক রকম বাড়িঘর পছন্দ।পার্সিফোনি রা যেমন জঙ্গলের পিট জলাভূমি এবং সংলগ্ন ছোট নদীতে নিজেদের সভ্যতা গড়ে তুলেছে।তলায় পড়ে থাকে গাছের পাতা,ডালপালা,আর থাকে আধডোবা গাছেদের শিকড়।অবশ্যই,জলে হিউমিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি,খনিজ বেশ কম।pH ৩-৪।তবে ৬ পর্যন্ত pH- এ টেনে দিতে পারে।শুষ্ক ঋতুতে আবার এরা জাস্ট একটুখানি পাতাপচা জলে দিব্যি কাটিয়ে দেয়।এদের দেশগাঁয়ের উষ্ণতা ২২-২৮ ( ডিগ্রি সেলসিয়াস)।জলের কাঠিন্য ১৮-৯০ ppm।বংশবিস্তার-এরা বাবল্ নেস্ট বানায়।খাওয়াদাওয়া-ছোটখাটো পোকামাকড় ধরে খায়।অ্যাকোয়িরামে রাখলে-আমি কোনদিন রাখিনি।এদেশে আসে কিনা কোন ইনফর্মেশন নেই আমার কাছে।যারা রাখে,তারা বলছে,মারাত্মক কঠিন নয় এদের লালনপালন।আবার খুব সোজাও নয়।কিছু জায়গায় দেখলাম দেড় বাই দু ফুটে রাখতে বলছে।অবিশ্যি ভালোভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে জোড়ায় রাখতে গেলে ওই সাইজ টা ভালোই হবে।ব্ল্যাকওয়াটার টাইপ লুক দেওয়া উচিত।হুবহু পরিবেশ বানানোও কঠিন নয় বলছে।pH কিন্তু কমই রাখতে হবে।জলের স্রোত কম চাই,সুতরাং গাক্ গাক্ করে ফিল্টারের ফ্লো দিলে হবে না।লুকনোর জায়গা চাই ভালোমতো।লোকজন আবার কীসব সরু সরু পাইপ শেপের জিনিস দিচ্ছে,এতে নাকি নেস্টিং ভালো হয়।কিছু ভাসমান পাতা দেওয়া যেতে পারে।যেমন এমনি ফাইটারের জন্য করা হয়,এদের ক্ষেত্রেও জলের উচ্চতা বেশি রাখা যাবে না; কারণ ল্যাবিরিংথ মাছ,জলের উপরের ভেজা বাতাস এদের শ্বাসের জন্য দরকার।এরা ভালো হাইজাম্পার,তাই ঢাকনা জরুরি,যাকে বলে নেসেসিটি।ড্রাই ফুড খেয়ে নেবে,তবে আর্টেমিয়া,ড্যাফনিয়া এসব খাওয়াতে পারলে স্বাস্হ্য নাকি ভালো হয়।এদের সমাজে ছেলেরা যখন বুদবুদের ঘর তৈরি করে,তখন বউ যদি কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করে,ছেলেগুলো নাকি বহুৎ ক্ষেপে যায়।মেয়েরা ২০-৫০ টা ডিম পাড়ে বলছে।এত কম পাড়লে প্রজাতি টিকবে কী করে ভগবান জানেন।বাপ- মা দুজনেই ডিম,কচি ছানার দেখভাল করে,কেউ খেয়ে ফেলে না।ভালো কথা,স্পেসিস- ওনলি ট্যাঙ্কে রাখার জন্যই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে।এরা কিন্তু বিপন্ন প্রজাতি-শুরুতেই এটা বলেছি।১৯৯৬ সাল থেকে এদের বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।মূল কারণ,এদের বাসস্হান অঞ্চলে পাম চাষের বাড়বাড়ন্ত।ক্যাপটিভ ব্রিডিং করে কিছুটা ক্ষতিপূরণ করার চেষ্টা চলছে।
তথ্যসূত্রঃ1.ibcbettas.org
2.fishbase.in
ছবিঃতথ্যসূত্র