Neolamprologus leleupi
আজ পর্যন্ত যত টাঙ্গানিকান সিকলিড নিয়ে কথা বলেছি সবাই হয়তো রঙচঙে সৌন্দর্যের নিরিখে মালাউই সিকলিডের থেকে পিছিয়ে। যদিও তারা তাদের হবে ভাবে সে অভাব পূর্ণ করে। কিন্তু আজ যে টাঙ্গানিকান টি নিয়ে একটু আলোচনা করতে চাই সেটি কিন্তু রঙের নিরিখে কোনো অংশে মালাউই থেকে কম যায়না। সাথে তো উপরই পাওনা হিসেবে রয়েছে তাদের Interesting behaviour pattern । ফিশ হবিতে খুবই common এই টাঙ্গানিকান টি হলো লিলিপি বা লেমন সিকলিড , যার দাঁতভাঙ্গা বিজ্ঞানসম্মত নাম Neolamprologus leleupi. Neolamprologus genus এর মধ্যকার প্রায় 50 টি স্পিসিসের মধ্যে leleupi প্রথম বিবরণ প্রায় 1956 তে। এই স্পিসিস এর মোটামুটি তিনটে subspecies আমরা দেখতে পাই। প্রথমটি হলো N. leleupi leleupi, দ্বিতীয় টি গাঢ় বর্ণের N. leleupi melas, আর তিন নম্বরটি হলো আরো লম্বাটে গড়নের N. leleupi longior. যদিও এটি নিজেই এখন একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্পিসিস এর মর্যাদা পেয়েছে। টাঙ্গানিকান হ্রদের এই endemic species টি মোটামুটিভাবে হ্রদের দক্ষিণভাগে এবং পূর্ব উপকূল বরাবর বিস্তীর্ণ ভাগে পাওয়া যায়। Collection point গুলোর মধ্যে মূলত রয়েছে বেম্বা, বুলু পয়েন্ট, তানজানিয়া এইসব অঞ্চল। রূপ ও বর্ন : লিলিপির লম্বাটে গড়নের শরীরটা সাধারণত হলুদ ও কমলা বর্ণের হয়। যদিও প্রকৃতিতে এদের বর্ণ হালকা ধূসর থেকে গাঢ় কালো , হালকা হলুদ থেকে গাঢ় কমলা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সেটা মূলত নির্ভর করে কোন collection point থেকে মাছ টা এসেছে তার ওপর। এদের উলম্ব শরীরের ওপর আমরা একটানা একটা dorsal fin এর গঠন দেখতে পাই। মুখের গড়ন সরু ও ঠোঁট গুলো সাধারণত usual মাছেদের থেকে একটু বড় হয়।প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মাছ মোটামুটি 4.2 ইঞ্চি থেকে 4.8 ইঞ্চি অব্দি পৌঁছয় যদিও স্ত্রী মাছ তুলনামূলক ভাবে ছোট আকারের (3 তো 3.5 ইঞ্চি) হয়। এছাড়াও পরুষ মাছ আলাদা করে চেনা যায় তাদের চওড়া শরীর ও লম্বা pelvic fin এর গঠন থেকে। আচরণ বিধি : যদিও বা মোটামুটি ভাবে শান্ত থেকে হালকা মেজাজী হয় এরা তবুও নিজেদের জাতের ওপর এদের রাগ টা মাঝে মাঝে একটু বেশিই হয়। বিশেষত প্রজনন এর সময়। species only ট্যাংকে এদের রাখতে পারেন ।অন্যান্য ছোট টাঙ্গানিকান স্পিসিস যেমন Julidochromis, brichardi, helianthus, pulcher এবং তুলনামূলক বড় স্পিসিস যেমন Altolamprologus compressiceps এদের সাথেও রাখা যেতে পারে এদের। Aquarium গঠন: বেশিরভাগ টাঙ্গানিকান দের মতো লিলিপি ও খুবই active একটা স্পিসিস। Aquarium বানানোর সময় খেয়াল রাখবেন যেন proper rock work এর সাথে open space এর একটা ভালো combination তৈরি হয়। ছোট ছোট cave এর মতো লুকোনোর জায়গা দিলে খুব ভালো হয়। উপযুক্ত সময় ওরা ওই cave গুলোই ব্যবহার করবে প্রজননের জন্য। অন্যান্য টাঙ্গানিকান দের মতো এরাও খুবই জল sensitive। তাই সবসময় খেয়াল রাখবেন জলের রসায়নের যেন বৈষম্য খুব বেশি না হয়। খুব আদর্শ না হলেও যেকোনো একরকমের জলের রসায়ন maintain করা খুবই আবশ্যক। substrate হিসেবে aragonite sand খুব ভালো হয় (সেটা এদের ph buffer এর ক্ষমতার জন্য) তা না হলে normal construction sand বা gravel ও দেওয়া যেতে পারে। তবে ব্যাপারটা হলো গিয়ে অনেকাংশে দেখা গেছে substrate এর রং এদের শরীরের রঙের ওপর খুবই প্রভাব বিস্তার করে। যেমন আপনি যদি গাঢ় (কালচে) রঙের substrate ব্যবহার করেন তো মাছের রং ও ধীরে ধীরে কালচে ও কাদাটে বর্ণের হয়ে যায়। তাই কোনো হালকা রঙের substrate হলে খুব ভালো হয়। আর একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো ভালো জলের flow। Proper water circulation খুবই জরুরি টাঙ্গানিকান দের জন্য।খাওন দাওন : না এদিকে লিলিপিদের কোনো বাছ বিচার নেই। তবে বরাবরই এদের পছন্দ একটু আমিষের দিকেই। ভালো জাতের pallet, flake সবই খাওয়ানো যেতে পারে, যাবে এর সাথে bloodworm, daphnia ও brine shrimp এর মহাভোজ যদি মাঝে মাঝে দেন তাহলে আনন্দের চোটে এদের রং ধরে রাখা মুশকিল। প্রকৃতিতেও এরা ছোট জলের পোকা, লার্ভা, প্ল্যাংটোন এসব খেয়েই বেঁচে থাকে। জলের রসায়ন: pH : 8.5 -9Temp: 23.5-26.5 cHardness:12-15 dGHপ্রজনন : Basically লিলিপি ডিম পাড়া প্রজাতি। অর্থাৎ এরা কোনো surface এ ডিম পাড়ে। তবে এই গোপন কম্ম টি এরা cave এর মধ্যেই করতে পছন্দ করে তাই আমি aquarium বানানোর সময় cave formation বানানোর কথা বলেছিলাম। অবশ্য শুরুটা করা উচিত 5 টা থেকে 6 টা juveniles নিয়ে। যত্ন দিয়ে proper care নিয়ে বড় করতে থাকুন সময়ে এরা নিজেরাই সঙ্গিনী বেছে নেবে। স্ত্রী মাছটি cave এর মধ্যে কোনো দেওয়ালে 100 ঘেকে 150 টির মতো ডিম দেয়। ডিম পাড়ার মোটামুটি 4 দিনের মধ্যে ডিম ফুটে wigglers বেরিয়ে আসে। Parental care এর দিক থেকে এরা খুবই দায়িত্ববান। দুইজনে মিলে বাচ্চাদের নিরাপত্তা ও দেখভাল করে অনেক বড় অব্দি।তাহলে এখন সিকলিড মানেই মালাউই নয় । বানিয়েই ফেলুন না একটা basic tanganyikan tank। দেখবেন এরা আপনাকে হতাশ করবেনা।