How to Start Aquarium Hobby
নতুন ফিশ কিপার রা কী করে মাছ পুষবেন?
ভুল পদ্ধতিঃ
১. পড়শী বা বন্ধুর বাড়িতে ঝিনচ্যাক্ দেখতে রঙিন মাছ দেখলেন।
২. আপনার বাড়িতে ফাঁকা জায়গা আছে বসার ঘরের কোণার দিকে।
৩. আপনার বসার ঘরেও ওরকম মাছ থাকলে আত্মীয় ও বন্ধুমহলে একটু ইয়ে বেড়ে যাবে আপনার।
৪. সুতরাং আপনি পাড়ার রঙিন মাছের দোকানে চললেন,৯ টা গোল্ডফিশ,৪ টে ব্লাড প্যারট,২ টো ক্যাটফিশ আর ২ টো ব্যানানা ফিশ নিয়ে এলেন,সাথে একটা রেডিমেড অ্যাকোরিয়াম( ফিল্টার আর দুর্দান্ত দেখতে প্লাস্টিকের গাছসমেত)।সাথে রঙবেরঙের পাথর।
৫.দোকানির কথামতো স্ট্যান্ড- ফ্যান্ড রেডি করে অ্যাকোয়িরাম বসিয়ে তাতে জল ঢেলে এবার মাছগুলোকে ছেড়ে দিলেন।
৬. সন্ধ্যেবেলা টিভিতে’ সাঁঝের বাতি’ আর
‘আলোছায়া’ র সাথে মাছের খেলা দেখতে দিব্যি লাগে এখন আপনার।
৭. মাঝে মাঝে মাছ টপকে যায়,কিন্তু আপনি আাবার শূন্যস্হান পূরণ করে ফেলেন।
৮. জ্যোতিষীর কথায় একটা কালো মাছ এনে রেখেছেন,কী যেন নাম টা,ওতে নাকি বাস্তু ভালো থাকে।
সঠিক পদ্ধতিঃ
১. পড়শির বাড়ি মাছ দেখলেন।
২. খুব ইচ্ছে করছে মাছ পোষার।
৩.মাছ নিয়ে ফ্রি ইন্টারনেটের যুগে একটু পড়াশোনা করুন।beginner দের পক্ষে উপযুক্ত মাছ কী হতে পারে বা আপনার পক্ষে রাখতে সুবিধে এরকম কী মাছ হতে পারে,দেখুন।কোন ফেসবুক মেছো গ্রুপের সদস্য হয়ে যান।পড়ুন মাছের ফিল্ট্রেশন,সাইক্লিং,জল চেঞ্জ,ট্যাঙ্ক সাইজ,তাপমাত্রা,খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি বিষয়গুলি।
৪.ঠিক করে ফেলুন কোন মৎস্যলক্ষী কে ঘরে আনবেন।
৫. ট্যাঙ্ক আর স্ট্যান্ড বানান।মাছের প্রয়োজনের সাথে ট্যাঙ্কের সাইজের আপস করলে আপনারই ক্ষতি।
৬. প্রয়োজনীয় ফিল্টার,থার্মোমিটার কিনুন।
৭. ট্যাঙ্ক সাজান।
৮. জল ভরুন ও সাইকেল করুন।
৯. সাইকেল হওয়ার পর মাছ ছাড়ুন।
১০. প্রয়োজনীয় মেনটেন্যান্স করতে থাকুন।
১১. পয়সা জমান( কারণ মাছ পোষার জন্য লোন পাওয়া যায়
না)। ৯৯% চান্স আপনার মাছের নেশা হবেই,তাই নতুন ট্যাঙ্ক এর জন্য আর্থিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকুন।
১২. সর্বোপরি,শেখার কোন শেষ নেই।তাই পড়তে থাকুন