10 tips for caring angelfish
পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিকলিডের শিরোপা যদি কোন মাছের থাকে সেটির মালিক নিঃসন্দেহে অ্যাঞ্জেলফিশ। ত্রিভুজের মতো আকৃতি, ধীর-স্থির চলন, রাজকীয় হাবভাবের এই মাছটি আমাদের অনেকেরই প্রথম শখের মাছ। তুলনামূলক সহজলভ্য এই মাছটিকে কিন্তু একবারেই Easy to keep বলা চলে না, বিভিন্ন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এদের আমাদের অগোছালো অ্যাকোয়ারিয়ামে টিকিয়ে রাখে ঠিকই, তবুও এদের পুষতে হলে চাই অসীম ভালবাসা ও মমত্ববোধ। চলুন আজ জেনে নিন তেমনি ১০ টি তথ্য যা আমাদের ভালোবাসার মাছটিকে আরো ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
১) অ্যাঞ্জেল একটি দলবদ্ধ ও সমাজবদ্ধ মাছ। একটি দলে একাধিক পুরুষ ও স্ত্রী মাছ একত্রে বসবাস করে এবং এই দলে নির্দিষ্ট ‘Pack order’ থাকে, অর্থাৎ দলের মধ্যে ক্ষমতা অনুযায়ী শ্রেনীবিন্যাস থাকে।
২) অ্যাঞ্জেল দলবদ্ধ মাছ হলেও প্রজনন মৌসুমে নিজেদের পছন্দ মতো জোড়া বেঁধে বসবাস করে এবং এই সময় পুরুষ মাছগুলি নিজেদের কর্তীত্ব প্রতিষ্ঠা করতে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে।
৩) জোড়া বাঁধার পর দুটি অ্যাঞ্জেল মাছ একসাথে বসবাস করে, ডিম পাড়ে, ডিমের যত্ন নেয় এবং একসাথে বাচ্চাদের বড়ো করে।
৪) ব্রিড অনুযায়ী অ্যাঞ্জেল মাছ বিভিন্ন সাইজের হলেও, একটি পূর্ণবয়স্ক মাছ ৬-৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এবং দশ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
৫) অ্যাকোয়ারিয়ামে একটি অ্যাঞ্জেল মাছের জন্য নূন্যতম ৬০ লিটার জলের প্রয়োজন হয়, এবং পরবর্তীতে প্রতি অ্যাঞ্জেল মাছের জন্য ৩০ লিটার জল প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ আপনি নূন্যতম ৬টি অ্যাঞ্জেলের দল রাখতে চাইলে নূন্যতম ২০০ লিটার জল ধরে এমন অ্যাকোয়ারিয়াম দরকার। যেহেতু অ্যাঞ্জেল দলবদ্ধ মাছ তাই এরা একাকিত্ব পছন্দ করে না, এবং দলবদ্ধ ভাবেই রাখা উচিত।
৬) অ্যাঞ্জেল মূলত সর্বভূক মাছ, তবে খাদ্যের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কেঁচো, ব্লাডওয়ার্ম ইত্যাদি এদের প্রিয় খাদ্য।
৭) অ্যাঞ্জেল শান্তিপ্রিয় মাছ, তাই এদের ট্যাঙ্কমেট সেকথা মাথার রেখেই নির্বাচন করা উচিত। সাধারণত শান্ত প্রকৃতির ছোট সিকলিড ও মাঝারি আকারের করিডোরাস প্রভৃতি এদের যোগ্য সহচর। তবে খুব ছোট মাছ এদের সাথে রাখা উচিত নয়, কারণ সুযোগ পেলে অ্যাঞ্জেল যে তাদের উদরস্থ করবে না এই গ্যারান্টি নেই।
৮) হালকা অ্যাসিডিক জল (pH ৬.৫-৭) কম টিডিএস (<১০০) ও ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের সবচেয়ে পছন্দের। অ্যাঞ্জেল যে অঞ্চলের মাছ সেখানে দৈনিক ও ঋতুগত উষ্ণতার ওঠানামা খুব কম, তাই অ্যাকোয়ারিয়ামেও উষ্ণতার ওঠানামা ওরা একেবারেই পছন্দ করে না। সাধারণত গাছপালা ভর্তি অ্যাকোয়ারিয়াম ওদের খুব পছন্দ।
৯) অ্যাঞ্জেলরা সহজেই ich আক্রমণের শিকার হয়, তাই অ্যাকোয়ারিয়ামে অ্যাঞ্জেল ছাড়ার আগে যথেষ্ট ভালো ফিল্ট্রেশন দেওয়া উচিত, ট্যাঙ্ক ম্যাচিউর না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। জলের conditions যেন কখনোই খারাপ না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। বিশেষত নিয়মিত আংশিক জল পরিবর্তন রুটিন মেনে করা উচিত।
১০) পুরুষ ও স্ত্রী অ্যাঞ্জেল ছোট অবস্থায় চেনা খুব কঠিন । কিন্তু বড় হলে পুরুষ মাছের মাথায় সামান্য একটু “হাম্প” দেখা যায়, এবং ফিমেলের তুলনায় সামন্য বড় হয়।