
Rocks in aquarium hobby – A tale of 5 rocks
“পাঁচ পাথরের গল্প”
================================
বিভিন্ন Aquascapeing rock ও artificial পাথর ছাড়াও আমরা অ্যাকোয়ারিয়ামে বিভিন্ন ধরনের natural rock বা পাথর ব্যবহার করি , আজকে আমাদের কথাবার্তা সেগুলো নিয়েই ….
(১) গ্রানাইট :
কোয়ার্টজ, ফেলসপার ও অভ্র দিয়ে তৈরি এই আগ্নেয় পাথরটার নাম শোনেননি এমন লোক সত্যিই বিরল। গোলাপি, সাদাটে, কালচে ইত্যাদি বর্ণের এই পাথরটি, শক্ত, ভারি, অপ্রবেশ্য ও মোটা দানাযুক্ত। সাধারণত যাঁরা জলের pH বেড়ে যাওয়া পছন্দ করেন না তাদের কাছে এই আম্লিক জাতীয় পাথরটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে যেহেতু জলের সাথে সহজে বিক্রিয়া করে না তাই সবধরনের অ্যাকোয়ারিয়ামেই এর ব্যবহার দেখা যায়। আবহবিকারগ্রস্থ গ্রানাইট পাথরের টেক্সার যে কোন অ্যাকোয়ারিয়ামের সৌন্দর্য একধক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে।
(২) ব্যাসল্ট :
গ্রানাইটের সাথে এক নিশ্বাসে উচ্চারিত হওয়া আরেকটি অতি পরিচিত আগ্নেয় পাথর। সাধারণত রেললাইনের পাথর বলে আমরা যাদের চিনি সেই কালো পাথরটিই হলো ব্যাসল্ট। তবে এটি কিন্তু গ্রানাইটের মতো আম্লিক শিলা নয়, বরং এটি ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য যুক্ত। সাধারণত ভাবে রিফ্ট ভ্যালি সিকলিড ট্যাঙ্কে এদের বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে পাথরটি ভাঙলে যেহেতু খুব তীক্ষ্ণ কোন বিশিষ্ট হয় তাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত নচেৎ মাছের আহত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ব্যাসল্ট এর মধ্যে কোয়ার্টজাইট, অলিভিন ইন্ট্রুশন থাকলে, বা পরফাইরিটিক জাতীয় ব্যাসল্ট হলে তা আরো দৃষ্টি নন্দন হয় তা বলাই বাহুল্য।
(৩) মার্বেল :
নব্বইয়ের দশক বা তারও আগে থেকে যাঁরা অ্যাকোয়ারিয়াম করছেন তাদের কাছে substrate বলতেই “পাথরকুচি” কথাটা খুব চেনা, সেই চিরাচরিত পাথরকুচিই আসলে মার্বেল পাথর। তবে মার্বেল মানেই সাদা একথা কিন্তু নয়, হলদে, ধূসর, নীলাভ, সবুজ, বাদামি অনেক রঙেরই মার্বেল হতে পারে। চুনাপাথর থেকে চাপ বা তাপের ফলে রুপান্তরিত হয়ে এই শিলা গঠন হয় বলে স্বভাবতই এটি ক্ষারীয় প্রকৃতির। তাই যারা জলের পিএইচ নিচের দিকে রাখতে চান তাদের জন্য এই পাথরটি কখনোই recommend নয়।
(৪) নিস :
হিমালয়ের পাহাড়ি ঝর্ণায় বেড়াতে গিয়ে অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য দু চারটে পাথর কুড়িয়ে আনেননি এরকম মানুষের সংখ্যা কম। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি সেগুলো কি পাথর? ওগুলোই নিস। শক্ত, সুক্ষ দানার রূপান্তরিত শিলা, স্বভাবে খুব হালকা অ্যাসিডিক থেকে নিউট্রাল। জলের সাথে সেভাবে বিক্রিয়া করে না, এবং সাদাকালো প্যাটার্নের জন্য সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাই অ্যাকোয়ারিয়ামে সাজাতে এর কদর যথেষ্ট বেশি।
(৫) কোয়ার্টজাইট :
আমাদের অতি পরিচিত চিনি পাথরের উৎস হল কোয়ার্টজাইট । কোয়ার্টজাইট স্বচ্ছ থেকে হালকা কমলা, হালকা বেগুনি, সাদা, বাদামি, ধূসর বিভিন্ন রঙের হতে পারে, তবে রং যাই হোক ক্রিস্টালয়েড কোয়ার্টজাইটের ডাস্ট কিন্তু সাদা । এই খনিজের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এরা pH neutral, তাই জলের সাথে কোন বিক্রিয়া করে জলের গুনগত মান পরিবর্তন করে না, তবে কাঁচের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন খনিজ, তাই সহজেই কাঁচে স্ক্র্যাচ ফেলতে পারে। কোয়ার্টজাইট রং শোষণ করতে পারে, তাই সহজেই এদের লাল, নীল, কালো ইত্যাদি রং করে নানা নামে বিক্রি করা হয়।
এদের মধ্যে কোনটি ব্যবহার করে আপনার অভিজ্ঞতা কিরকম? লিখে জানান আমাদের ইনবক্সে ……




